করোনার সংক্রমণ রোধে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ফ্লাইট কমে যাওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে সবজি, ফলমূল ও মাছ রপ্তানিতে নেমেছে ধস।
ক্রেতাদের বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকায় পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। কাতার ও কুয়েতে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়তি ভাড়া আদায় করছে কাতার এয়ারসহ বেশকিছু এয়ারলাইন্স। এদিকে যাত্রী প্রবেশে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ও নিত্য পণ্যের বাজারে কৃত্রিম সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ব্যবসায়ী মহলে।
ইউরোপের বিভিন্ন শর্তের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশি সবজি, ফলমূল ও মাছের বড় বাজার হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। পচনশীল হওয়ায় সাধারণত আকাশপথে রফতানি করা হয় এসকল পণ্য। কিন্তু অন্যতম বড় ক্রেতা দেশ কাতার ও কুয়েতের করোনার ভয়ে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং চীন, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট কমে যাওয়ায় ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সবজি ও মাছ রফতানি। এতে শুধু রফতানিকারকই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবজি ও মাছ চাষীরা। প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে অনেক প্যাকিং হাউস। এদিকে ফ্লাইট কমে যাওয়ায় পণ্য পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এয়ারলাইন্সগুলো।
ফলমূল সহ সবজি রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর জানান, কাতারে ৭৫ শতাংশ এক্সপোর্ট বন্ধ রয়েছে। মিনিমাম পনের থেকে ষোলো লাখ ডলারের লস হচ্ছে প্রতি মাসে।
আনন্দবাজার/তা.তা