করোনাভাইরাসে আক্রমনের ফলে আগে থেকেই বৈশ্বিক বাজারে অর্থনৈতিক মন্দা রয়েছে। এর মধ্যে আবার সৌদি ও রাশিয়ার মধ্যে তেলের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে ঝামেলায় মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে সোমবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বের পুঁজিবাজারগুলোর সূচক কমেছে ব্যাপক হারে। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট পুঁজিবাজারের সূচক কমেছে ৭ শতাংশ। অপরদিকে নিউইয়র্কের ডও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়ালের পয়েন্ট কমেছে ২ হাজার। একদিনে পুঁজিবাজারটির এটিই ছিল সর্বোচ্চ পতন। তাছাড়া এস অ্যান্ড পি ৫০০ এর বাজারে সূচক কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।
ভারতের পুঁজিবাজার সেনসেক্সের ১৭০০ পয়েন্ট কমেছে। পাকিস্তানের পুঁজিবাজার কেএসআই-১০০ এর সূচক ২ হাজার ১০৬.৭৮ পয়েন্ট কমেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারটির লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়। অন্যদিকে জাপানের নিক্কেই শেয়ার বাজারে সূচক কমেছে ২২৫ পয়েন্ট ও টপিক্সের সূচক ৭৩ পয়েন্ট কমে যায়।
ওশেনিয়া মহাদেশের অস্ট্রেলিয়ার সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জের শেয়ারের দাম ৭ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। যা এ যাবতকালে ২০০৮ সালের পর সর্বনিম্ন।
এদিকে যুক্তরাজ্যের পুঁজিবাজার এফটিএসই’র সূচক ৮ শতাংশ কমেছে। যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। এছাড়া একের পর এক ধস নামা শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁজিবাজারেও।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক এবং রাশিয়ার সঙ্গে তেলের দামের নির্ধারণ নিয়ে ঝামেলায় সোমবার(৯ মার্চ) তেলের দাম কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। যার ফলে এনার্জি ফার্মগুলোর শেয়ারের দাম কমে গিয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় তেল অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম প্রায় ৩১ শতাংশ কমেছে।
মরনঘাতী করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের সাংহাই পুঁজিবাজারের শেয়ারের দাম ২ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি সোমবার হংকংয়ের হাং সেং পুঁজিবাজারের সূচক ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই করোনার ফলে বিশ্ব বাজারে মারাত্মক মন্দা বিরাজ করছে। যার জন্য বিনিয়োগকারীরাও এখন ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করছেন না। তবে বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে সোনার দাম।
আনন্দবাজার/শাহী