পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলায় বোম্বাই মরিচ চাষে ব্যাপক সফলতা। প্রায় এক যুগ আগে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হলেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর চাষাবাদ। এ বছর উপজেলার প্রায় চুয়াল্লিশ হেক্টর জমিতে বোম্বাই মরিচের চাষ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো।
প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় এককোটি ছয়লক্ষ বোম্বাই মরিচ উৎপাদন হয়। দেশের চাহিদা পূরণ করে বৈদেশিক বাজারেও এখন রপ্তানি হচ্ছে এই ফসল এবং চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।
সিজনের শুরুতে ফলন কম হলেও প্রতিটি মরিচ বিক্রি হয় ৪/৫ টাকায় এবং পর্যায়ক্রমে ফলন বেশি হলেও দামও অবশ্য কমতে থাকে। মুলত এখানকার অনেক নার্সারী মালিক গন আশ্বিন মাসে চারাগাছ উতলনের পর থেকে বোম্বাই মরিচ চারা রোপণ করে থাকে এবং মাঘ মাসে গাছে ফলন ধরে।
অধিকাংশ কৃষকদের অভিযোগ কৃষি অফিস থেকে পাচ্ছে না কোন প্রকার সহোযোগিতা, গাছের রোগ নির্ণয়ের জন্যও পড়তে হয় নানন সমস্যায়। পুরনো আমলের ঘরোয়া পদ্ধতিতে চাষের জন্যে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হারাচ্ছে তাদের মূলধন। সরকারের সু দৃস্টি এবং কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে এই কৃষি খাত থেকে অনেক কৃষকই ভাগ্য উন্নয়নে সক্ষম হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন বোম্বাই মরিচ চাষের জন্যে নেছারাবাদ একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। প্রায় চুয়াল্লিশ হেক্টর জমিতে বোম্বাই মরিচ চাষ হচ্ছে। এটি খুবই লাভ জনক এবং উচ্চ ফলনশীল ফসল। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় এক কোটি ছয় লাখ বোম্বাই মরিচ উৎপাদন হয়। এটি এখন দেশের সকল ছোট বড়ো শহরের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হচ্ছে।
এছাড়া, আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের প্রতিনিয়ত চাষাবাদের বিভিন্ন কলাকৌশল শেখানো হচ্ছে, এছাড়াও ক্ষতিকারক পোকামাকড় থেকে বোম্বাই মরিচ রক্ষার জন্য নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সরকার যেন প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সহজ সর্তে ঋণ সহায়তা করে, সে জন্য উপরস্থ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।
আনন্দবাজার/শাহী