নওগাঁর আত্রাইয়ে পাঁচকোটি টাকা ব্যায়ে ৩৩/১১ কেভি বেবেকার চালু হয়েছে। এলাকাবাসী সার্বক্ষনিক নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুত পেতে শুরু করায় জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ৯০ এর দশকে আত্রাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম চালু হয়। সে সময় হাতেগোনা কয়েক শ গ্রাহক ছিল সমগ্র উপজেলা জুড়ে। “প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এ শ্লোগানকে বাস্তবায়িত করতে ২০১৮ সালে আত্রাই উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়। এক সময় এ উপজেলায় ১টি ফিডারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হতো বিদ্যুৎ। তাও আবার নিয়ন্ত্রীত ছিল নওগাঁর অধীন। বর্তমানে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার ২০০ জন।
এর মধ্যে রয়েছে শিল্প, বাণিজ্যিক, আবাসিক ও দাতব্য সংযোগ। এতোদিন নওগাঁ হতে রাণীনগর হয়ে আত্রাই উপজেলায় বিদ্যুত আসার কারনে কোন জরুরী প্রয়োজনে রাণীনগরে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে আত্রাই উপজেলায় শত প্রয়োজনেও মানুষ বিদ্যুতের ভোগান্তির স্বীকার হতো। নওগাঁ থেকে সরাসরি আত্রাইয়ে প্রায় পাঁচকোটি টাকা ব্যায়ে লাইন নির্মিত হওয়ায় বর্তমানে উপজেলাবাসী স্বাধীনভাবে বিদ্যুতের সেবা পেতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে ভবানীপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের এলাকার সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের এক সময় অনেক লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হতো। ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ করে লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হতো। এবং লোডশেডিংয়ের কারনে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতো।
এ ব্যাপারে ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফিয়া খাতুন বলেন, বিদ্যুৎতের লোডশেডিং কোমলমতি কচিকাচা শিশুদের পড়াশুনার অনেক ক্ষতি হতো কিন্তু বর্তমানে ৩৩/১১ কেভি বেবেকার চালু হওয়ায় এখন আর লোডশেডিং হয়না। এবং আমরা সর্বস্তরের জনগণ অনেক ভালো আছি।
এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনের এজিএম ফিরোজ জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে দেশ। এলাকাবাসী যেন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায় এবং লোড শেডিংয়ের কবলে পড়তে না হয় এ জন্য আত্রাইয়ে দুইটি শক্তিশালী ৩৩/১১ কেভি দু’টি উপ-কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের ফিডারগুলো অনেক লম্বা রয়েছে। উন্নত হচ্ছে বিদ্যুত বিভাগসহ সমগ্র বাংলাদেশ। মুজীববর্ষের অঙ্গীকার সবার ঘড়ে ঘড়ে বিদ্যুত পৌঁছে দেওয়ার। তার ধারাবাহিকতায় আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এলাকার মানুষ সুফল পেতে শুরু করেছে। এবং এখন আর গ্রাহকদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে।
আনন্দবাজার/এফআইবি