এক বছর হতে চলেছে পুরান ঢাকার অগ্নিকাণ্ডের ট্র্যাজেডির। গেল বছর ২০ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পরিণত হয়েছিল পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার হাজী ওয়াহেদ ম্যানশন। মূলত কেমিক্যাল কারখানা থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছিল। প্রায় ২৫ হাজার কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে চুড়িহাট্টায়। তবে ওই ঘটনার পরেই গোডাউনগুলো অপসারণের জন্য কিছুটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও ওই একই অবস্থায় আছে কেমিক্যাল কারখানাগুলো। এখনও অপসারণ করা হয়নি। আগের মতোই পুরান ঢাকার মানুষজন কেমিক্যালের সাথে বসবাস করছে। এমনকি এখনও বাসা বাড়িতেই মজুদ রাখা হচ্ছে রাসায়নিক দাহ্য বস্তু।
জানা গেছে, এসব কেমিক্যাল গুদামে রয়েছে গ্লিসারিন, সোডিয়াম অ্যানহাইড্রোস, সোডিয়াম থায়োসালফেট, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, মিথাইল ইথাইল কাইটন, থিনার, আইসোপ্রোপাইলসহ ভয়ংকর সব রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ। এসব রাসায়নিক পদার্থ আগুনের সামান্যতম সংস্পর্শ পেলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, অচিরেই এসব কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে না নেওয়া হলে ঘটতে পারে চুড়িহাট্টার চেয়ে আরও বড় ট্র্যাজেডি।
আরও পড়ুন : সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেল নেপাল
আরও জানা গেছে, পুরান ঢাকার প্রায় ২৫ হাজার কেমিক্যাল গোডাউনের মধ্যে ১৫ হাজারই রয়েছে বাসা বাড়িতে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মাত্র আড়াই হাজার কারখানাকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। কিন্তু বাকি ২২ হাজারের বেশি গুদামই অবৈধ ভাবে কাজ করছে। ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২০০ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবসা চলে এসব কারখানায় ।
আনন্দবাজার / এইচ এস কে