২০১৮ সালে সিভিল এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থী দ্বারা ছয় নবীন শিক্ষার্থীকে অর্ধনগ্ন করে রাতভর র্যাগিং দেওয়ার অভিযোগে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ হিমেল ও মোঃ হামিদুর রহমান রঙ্গনকে আজীবন বহিষ্কার করা সহ ২১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্রকৌশল বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর উপর জুনিয়র শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ায় এর সত্যতা যাচাই তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির নিকট যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম সাকিব এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের মোহাম্মদ সোহেল রানা, একই বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের নাফি আনোয়ার সাদি এবং নূর-ই-আলম সিদ্দিকী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ০৯ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা মোস্তাকিম রিয়াদকে সিলেট নগরীর পাঠানটুলার একটি মেসে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে রিয়াদকে শারিরীকভাবে নির্যাতন, গালিগালাজ করে একইসাথে বিভিন্ন অঙ্গি-ভঙ্গি করতে বলা হয়। পরদিন দিনের বেলাতেও একই ধরনের ঘটনার সূত্রপাত পাওয়া যায়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভীত অবস্থায় অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
এমন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং অভিযুক্তদের সাথে কথা বলেছি। একই সাথে প্রাথমিক তদন্তের প্রতিবেদন উপাচার্য স্যারের নিকট প্রেরণ করেছি। সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে এ তদন্ত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেই। তদন্তের প্রেক্ষিতে তাদেরকে বৃহস্পতিবার সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন। রোববার তাদের বহিষ্কারের নথি বিভাগে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিস উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিবারই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত স্বাপেক্ষে র্যাগিং এ জড়িত থাকা চক্রকে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং মোটেও সহ্য করা যাবে না। তদন্তের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/শাহী