ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিকটক বানানো একটি মানসিক রোগ

গান অথবা রম্য সংলাপের সঙ্গে নিজের ব্যাঙ্গাত্মক মুখোভঙ্গি এবং ঠোঁট মিলিয়ে মাত্র ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও এর প্লাটর্ফম হচ্ছে টিকটক। শিক্ষার্থী, শিল্পী, তারকা, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এখন মাত্র ১৫ সেকেন্ডের এই ব্যাঙ্গাত্মক রম্য সংলাপের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে।

অর্থহীন এই টিকটক প্রতিযোগিতায় নিজেকে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রাখতে অনেকই নিচ্ছেন জীবনের ঝুঁকিও। তবে এ ব্যাপারে মনোবিদরা বলছেন, নিজেকে অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য নিজেকে আলোচনা নিয়ে আসার এমন প্রবণতা হচ্ছে ভয়াবহ মানসিক অসুস্থতা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সঞ্চারী প্রতিভা জানান, বিষন্নতা কিংবা এনজাইটির রিলেটেড যে ডিসঅর্ডারের গুলো রয়েছে মানসিক রোগের ডিকশনারিতে, সে ধরনের রোগগুলো এ হীনমন্যতা থেকেই তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে আমরা খুব ছোট বয়সেই বাচ্চাদের মোবাইল দিচ্ছি। আগের সময়ে ছেলে-মেয়েরা বড় হয়েছে মোবাইল ছাড়াই। অথচ এখন বাসায় বাচ্চা কাঁদছে, তাই তার হাত আমরা একটা মোবাইল হাতে ধরিয়ে দেই। এ প্রবনতা থেকে আমাদের অতি দ্রুত বেরিয়ে আসা উচিত।

টিকটকের এসব ভিডিও এক দিকে যেমন অশ্লীল রুচিশীল কর্মকান্ডে বিস্তার করেছ, ঠিক তেমনি করে তৈরী করছে মানসিক বৈকল্য। ২০১৬ সালে চীনে টিকটকের উৎপত্তি হলেও সেখানেি এই অ্যাপটির ব্যবহার নেই। অথচ এই অ্যাপসটি ভারতে ডাউনলোড হয়েছে ২৫ কোটি বার।

 

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন