গাজীপুরে উপজেলা মৎস্য ও প্রানীসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত পৃথক দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাংস বিক্রেতা ও একটি পশুখাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে মোট দু’লাখ ষাট হাজার টাকা জড়িমানা করেছে। এসময় আদালত প্রায় ৫’শ কেজি মেয়াদউত্তির্ন মৎস্য খাদ্য এবং ১৮’শ কেজি গরু ও মহিষের মাংস জব্দ করে মাটি চাপা দেয়া হয়। বৃহস্পাতিবার মহানগরের লক্ষিপুরা ও তিনসড়ক এলাকায় অভিযান দুটি পরিচালনা করা হয়। গাজীপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল জাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সেলিম উল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা গাজীপুর মহানগরের লক্ষিপুরা এলাকায় দু’টি রেডি মিট (মাংসের দোকান) দোকানে অভিযান চালায়। এসময় বিসমিল্লাহ গোস্ত বিতানের মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক পালিয়ে যায়। কর্মকর্তারা পরে পার্শ্ববর্তী ভাই ভাই গোস্ত বিতান নামের অপর মাংসের দোকনে অভিযান চালিয়ে পঁচা মাংস বিক্রির অভিযোগে বিক্রেতা নব কুমার দত্তকে আটক করে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ২ লাখ টাকা জড়িমানা করে আদায় করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত দু’টি দোকান থেকে ১৮শ কেজি খাবার অনুপযোগী মহিসের পঁচা মাংস জব্দ করে। জব্দকৃত মাংসগুলো উপজেলা প্রানীসম্পদ কার্যালয় প্রাঙ্গনে মাটিচাপা দেয়া হয়। প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আরো জানান, মাংস গুলো ভারত থেকে আমদানী করার কথা জানালেও বিক্রেতারা এর কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। আমরা মাংসে কোন ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা পরীক্ষার জন্য ঢাকার প্রণীসম্পদের গবেষণা কেন্দ্রে নমূনা পাঠিয়েছি।
উল্লেখ্য, ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিক্রেতারা এটিকে মহিসের মাংস বললেও ওই মাংসের ক্রেতা নিন্ম আয়ের গার্মেন্টস কর্মীরা অনেকে দোকানটিকে সস্তা মূল্যের গুরুর মাংসের দোকান হিসেবে চিনে।
এদিকে গাজীপুর সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জান্নাতুন শাহীন জানান, সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে মৎস্য বিভাগের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মহানগরের তিনসড়ক এলাকার লায়ন ফিডস্ লিমিটেড নামের একটি পশু ও মৎস্য খাদ্য উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালায়। এসময় অননুমোদিত ভাবে ইউকে-বাংলা নামের অপর একটি প্রতিষ্ঠানের মৎস্য খাদ্য উৎপাদন করা ও মেয়াদউত্তির্ন পশুখাদ্য কারখানার মাঝে সংরক্ষন করার অভিযোগে আদালত কারখানাটিকে ৬০হাজার টাকা জড়িমানা করে আদায় করে। পরে জব্দকৃত ৫’শ কেজি মেয়াদোত্তির্ণ মাৎস্য খাদ্য কারখানা প্রাঙ্গনে পানি ঢেলে ধ্বংস করা হয়।
আনন্দবাজার/এফআইবি