ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইথোপেন স্প্রে করা হচ্ছে রাজশাহীর টমেটোতে

মৌসুম অনুযায়ী সময় হলে প্রাকৃতিকভাবেই ফল পাকে। সেই সময় প্রাকৃতিকভাবেই ফলে ইথিলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার কারণে ফলের মধ্যে এক ধরনের এনজাইম নিঃসৃত হয়। সাধারণ শর্করা বা সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজে রূপান্তরিত করাই এনজাইমের প্রধান কাজ। যার ফলে ফল নরম ও সুস্বাদু হয়।

ফলের ত্বককে নরম করাই হচ্ছে পেকটিনেজ এনজাইমের কাজ। ত্বকের ক্লোরোফিল পরিবর্তিত হয়ে কেরোটিনয়েড হয়ে যায়। যার কারণে ফলের রং বদলে পাকা অর্থাৎ হলুদ বা লাল বর্ণ ধারণ করে। মূলত প্রাকৃতিক ভাবেই ফলে ইথিলিনের উপস্থিতি।

জমি থেকে সবুজ টমেটো তুলে রঙিন করা হচ্ছে ইথিলিন বা ইথোপেন স্প্রে করে। আর যত বিপত্তি দেখা দিয়েছে এখানেই। ইথোপেন স্প্রে করার পরও পরীক্ষায় টমোটোতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো উপাদন পাননি কৃষি কর্মকর্তারা। সহনীয় পর্যায়ে স্প্রে করায় এটি এখনও নিরাপদ। খ্যাদ্য মন্ত্রণালয় টমোটোর নমুনা নিয়ে বর্তমানে ল্যাবরেটরিতে ‘নিউট্রিশন স্ট্যাটাস’ পরীক্ষা করছে।

রাজশাহীর টমেটো দেশের বাজারে আসে সবার আগে এবং থাকে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। বছরের এই সময়টা রাজশাহীর ওপর নজর থাকে ব্যবসায়ীদের। শীত মৌসুমে রাজশাহীতে টমেটো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। যদিও এবার টমোটো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমেছে রাজশাহী জেলায়।

আনন্দবাজার/এস.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন