ঢাকা | বুধবার
১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নয় মাস আটকে থাকার পর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরছেন বুচ ও সুনি

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) দীর্ঘ নয় মাস আটকে থাকার পর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে আসছেন নাসার নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনি উইলিয়ামস। নাসার নভোচারী নিক হেইগ ও রুশ মহাকাশচারী আলেক্সান্দর গর্বুনভের সঙ্গে স্পেসএক্সের একটি ক্যাপসুলে চড়ে তারা পৃথিবীতে ফিরছেন। খবর রয়টার্স

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় ১১টা ৫ মিনিটের (জিএমটি ০৫:০৫, ইডিটি ০১:০৫) দিকে তাদের আইএসএস থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা।

এটি হবে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলা এক মহাকাশ মিশনের সমাপ্তি। তবে তাদের ফেরার শেষ পর্বটি সহজ হবে না। স্পেসএক্স ড্রাগন ক্যাপসুলটি দ্রুত ও অগ্নিময় পুনঃপ্রবেশের মাধ্যমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরবে, যেখানে এটি প্রায় ১ হাজার ৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করবে।

মাত্র আট দিনের মিশনে গত বছরের ৫ জুন বোয়িং নির্মিত স্টারলাইনার রকেটে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাদের প্রায় দীর্ঘ ৯ মাস অরবিটে অবস্থান করতে হয়।

যাত্রাপথে স্টারলাইনার নভোযানটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। এক্ষেত্রে নতুন ওই রকেটে প্রপালশন সমস্যা ও হিলিয়াম লিক হওয়ার কথা জানিয়েছিল বোয়িং। উৎক্ষেপণের একদিন পর ৬ জুন ক্যাপসুলটি স্পেস স্টেশনের কাছাকাছি যাওয়ার সময় এর পাঁচটি থ্রাস্টার নষ্ট হয়ে যায়।

স্টারলাইনার গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে এলেও, সেটি খালি অবস্থায় ফিরেছিল। এর ফলে বুচ ও সুনির ফেরার জন্য নতুন যান প্রয়োজন হয়।

তাই নাসা বিকল্প হিসেবে পরবর্তী নির্ধারিত ফ্লাইট স্পেসএক্স ক্যাপসুল বেছে নেয়। এটি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছায়। ওই ক্যাপসুলে চারজনের পরিবর্তে দুইজন নভোচারী ছিলেন। ফলে বুচ ও সুনির জন্য দুটি আসন খালি ছিল। তবে এই মিশনের মেয়াদ ছয় মাস হওয়ায় তাদের মহাকাশে থাকার সময় দীর্ঘায়িত হয়।

রোববার বদলি ক্রুর আগমনের মধ্য দিয়ে বুচ ও সুনির ফেরার চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। নতুন দলের কাছে সংক্ষিপ্ত দায়িত্ব হস্তান্তরের পর তাদের মিশন শেষ হলো। নাসার এই দুই নভোচারী প্রত্যাশার চেয়ে দীর্ঘ সময় মহাকাশে কাটানোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন।

পৃথিবীতে ফেরার পর সুনিতাদের বেশ কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এত দিন মহাকাশে থাকার পর পৃথিবীতে ফিরলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে তাদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন মহাকাশে শূন্য মাধ্যাকর্ষণে থাকার কারণে নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় হেরফের ঘটে।

সংবাদটি শেয়ার করুন