এবারের ঈদে বাজারে আসছে না নতুন নোট। এ সুযোগে চড়া রাজধানীর মতিঝিল ও গুলিস্তানের নতুন টাকার বাজার। গুলিস্তানে পথের ধারে কড়কড়ে নোটের বাণিজ্য বহন করে চলেছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। সারাবছরই এই ব্যবসা জমজমাট থাকলেও, উৎসবের আগে পায় নতুন মাত্রা। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরে।
সালামী, প্রিয়জনকে উপহার কিংবা দান-খয়রাতেও নতুন টাকার ব্যবহার বাড়িয়ে দেয় ঈদের আনন্দ। কিন্তু, এবার সেই আনন্দে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বয়ং নিয়ন্ত্রক সংস্থা; শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিওয়ালা ফ্রেশ নোট বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে। ফলে বিকল্প উপায়ে সংগ্রহ করতে খোলা বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কিন্তু, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেখানে ব্যয় বেড়েছে অন্তত দ্বিগুণ।
খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে টান পড়তে শুরু করেছে সরবরাহে। ফলে দুই টাকার ১শ নোটের একেকটি বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকায়। এছাড়া, পাঁচ টাকার বান্ডিল সাড়ে ৬শ ও ১০ টাকার বান্ডিলের জন্য গুণতে হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। এছাড়া, দাম বেড়েছে ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার চকচকে নোটের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, গ্রাহকদের কিছুটা কষ্ট হলেও সঙ্গত কারণেই ছাড়া হয়নি নতুন নোট। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের একটা চাহিদা আছে, তারা জুলাই অভ্যুত্থানের নকশাকৃত নোট দেখতে চাচ্ছে। তাদের এই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখেই মাস দুয়েকের মধ্যেই আশা করি বাজারে নতুন নোট চলে আসবে।
উল্লেখ্য, ঈদ সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছরই নতুন নোট বাজারে ছাড়ে। এ সময় নতুন পোশাকের পাশাপাশি নতুন টাকাও সংগ্রহ করেন অনেকে। এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় গতকাল সোমবার স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় বাধে আপত্তি।