তুরস্কের ইস্তানবুলের একটি রিসোর্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৬ জন এবং ৫১ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ভোর ৩টা ২৭ মিনিট নাগাদ উত্তর পশ্চিম তুরস্কের কার্তালকায়া রিসোর্টে আগুন লেগে যায় বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর।
রিসোর্টের পর্যটক এবং কর্মচারীদের অধিকাংশই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আগুন যে লেগেছে অনেকেই প্রথমে টের পাননি। যখন বুঝতে পারলেন, ততক্ষণে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে আগুন। ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে হোটেলের বেশিরভাগ ঘর এবং করিডর। কাঠের তৈরি হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যখন তারা বুঝতে পারেন আগুন লেগেছে তখন হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।দমবন্ধ হয়ে এবং ঝলসে এবং প্রাণ বাঁচাতে জানালা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬৬ জনের। তুরস্ক সরকার জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় রিসোর্টে ২৩৮ জন পর্যটক ছিলেন।
বহুতল রিসোর্টটি কাঠের তৈরি হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে কেন আগুন লাগলো, সে বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সরকার। ধ্বংসস্তূপের তলায় আরও কয়েক জনের দেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরেই শুরু করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানান, “দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ৫১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, এদিন ১২ তলা গ্র্যান্ড কার্তালকায়া হোটেলে ভোর রাত ৩টা ২৭ মিনিটে আগুন লেগে যায়। বিল্ডিংটি কাঠের তৈরি হওয়ায় আগুন ভয়াবহ আকার নেয়।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ, দমকলবাহিনী এসে জোরকদমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার প্রায় ১৭০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের কার্তালকায়া রিসোর্ট শীতে ইউরোপের পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য। আশপাশের বরফে ঢাকা পাহাড়ি উপত্যকায় স্কি করতে যান তারা। জানা যাচ্ছে, এখনও রিসোর্টটি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হয়নি। সেখানে আর কেউ আটকে রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আগুনে সেটি ভস্মীভূত হয়ে গেছে বলে খবর।
আনন্দবাজার ফারুক