জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম মতবিনিময় সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে কেউ আহত না হলেও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং দুটি কাচের জানালা ভেঙে ফেলা হয়। পদবঞ্চিত ও পদধারীদের মধ্যকার হট্টগোলের কারণে জরুরি সভা তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামের সেমিনার কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রদলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সভাটি আহ্বান করেছিলেন জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর এবং সদস্য সচিব ছিলেন ওয়াসিম আহমেদ অনিক। নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্যকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে সভার শুরুতেই ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিশৃঙ্খলার সময় উত্তেজিত ছাত্ররা সেমিনার কক্ষের দুটি কাচের জানালা ভেঙে ফেলে। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ছাত্রদলের নেতা ইকবাল বলেন, আমি একযুগের বেশি রাজনীতি করি। সকল আন্দোলন সংগ্রামে প্রথম সারিতে থেকে মামলা হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সম্প্রতি হয়ে যাওয়া জাবি ছাত্রদলের কমিটিতে আমার মত অনেক ত্যাগীদের জায়গায় হয়নি। এই সিনিয়র কমিটি করা হয়েছে এক মাসের জন্য এবং সকল ত্যাগী নেতাকর্মী পরিচয় দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু সেখানে উল্টো টা পরিলক্ষিত হয়। এখানে অনেক ত্যাগী কর্মীকে বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ ও বির্তকিত লোকজন এমনকি ৫ তারিখের পর রাজনীতিতে এসেছে এমন প্রায় শতাধিক লোক পদ পেলেও আমরা বঞ্চিত হলাম। এতো বড় কমিটি করার কারণ হলো ত্যাগীদের বাদ দিয়ে আগামী কমিটিও যেনো তারা কুক্ষিগত করতে পারে তাই ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্টদের দিয়ে কমিটি করে ভোটার বৃদ্ধি করে নতুন কমিটিও তাদের অনুকুলে নেওয়ার পায়তারা করেছে। আমরা প্রোগ্রামে যাওয়ার পর দেখি ছাত্রলীগের পোলাপান চেয়ারে বসে আছে আমরা সিনিয়ররা যাওয়ার পরও জায়গা চেড়ে দেয়নি তাই আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারা উল্টো আমাদের দিকে তেড়ে আসে। পরবর্তীতে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি আমাদেরকে বঞ্চিত করা হলো কেনো
এছাড়াও, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের একাংশের নেতারা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের বিষয়টি দুঃখজনক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় এর সমাধানের চেষ্টা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।