ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা কুতুবপুর রামারবাগ এলাকার মিশওয়ার হোসিয়ারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া  এফওসি (ফ্রি অব কস্ট) দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অর্থপাচার করেছে। তাই কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর তিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে।

কাস্টমস গোয়েন্দা দীর্ঘ ৯ মাস তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে সেই প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য।

এই ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির  ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমদ  জানান,কাস্টমস গোয়েন্দার কিছু ভুল আছে। আপাতত আমরা বন্ডের সাথে কাজ করছি। বন্ড দিয়ে অডিট করাচ্ছি, অডিট কমপ্লিট হলে জানা যাবে কী হয়েছে। ভুয়া এফওসি বিষয়ে তিনি বলেন তারা অনেক কিছু বলতেই পারে। সমস্যা যেহেতু তৈরি হয়েছে, কিছু তো আছে। আমার কথা তো তারা শুনবে না। প্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ডের, আমাকে যেতে হচ্ছে বন্ডে। বন্ডে আমি শুনানি দিয়েছি। তারা তাদের মতো গেছে, আমি আমার মতো আইনি প্রসেসে যাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ সরকারি আমানতে সুদহারের পরিবর্তন

পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা আগের বছরের রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশ কাপড় এফওসি’র ভিত্তিতে আমদানি করে আসছেন, যার মূল্য পরিশোধ করেন বিদেশি ক্রেতা। এর পরও পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো ভুয়া বা জাল এফওসি দেখিয়ে প্রাপ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত কাঁচামাল আমদানি করে আসছে।

এনবিআর দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানগুলো এফওসির অপব্যবহার করে আসছে বলে অভিযোগ পায় । তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কাস্টমস গোয়েন্দাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কাস্টমস গোয়েন্দা এফওসি সুবিধার অপব্যবহারের প্রমাণ পায় মিশওয়ার হোসিয়ারিসহ ১৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। পরে ২০১৮ সালের ১১ মার্চ মিশওয়ার হোসিয়ারি মিলস (প্রা.) লিমিটেডের (গার্মেন্ট ডিভিশন) ১০টি চালানসহ ১৩টি পোশাক প্রতিষ্ঠানের মোট ৭০টি চালান স্থগিত করে।

আনন্দবাজার/এইচ.এস.কে 

সংবাদটি শেয়ার করুন