এক লাখ মেট্রিকটন অপরিশোধিত লবণ কিনবে সরকার। আর এই লবন সরাসরি মাঠ থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে । অর্থ ছাড় পেলেই প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে লবণ কেনা শুরু করবে বিসিক। মাঠ থেকে লবণ কেনা শুরু হলে লবণের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।
সোমবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের শহীদ এ টি এম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে লবণ উৎপাদন, সরবরাহ ও বাজারদর বিষয়ে মতবিনিময় এক সভায় এই তথ্য জানান বিসিক কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সৈয়দ আহামদ। এই সভায় লবণ চাষী ও মিল মালিকেরা লবণের ধারাবাহিক দরপতন রোধ ও চাষিদের মাঠে নামানোর বিষয়ে কথা বলেন।
তারা বলেন,অতি মুনাফালোভী লবণ সিন্ডিকেটের কারণে সঠিক দাম পায় না প্রান্তিক লবণচাষীরা। প্রতিদিনই ফিনিশ লবণ দেশে ঢুকছে দেশে । আর সেই লবণ কম দামে বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। যেভাবেই হোক সুডিয়াম সালফেটের আড়ালে যারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট, সোডিয়াম ক্লোরাইড আমদানি তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
সভায় কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, সরকারিভাবে লবণ আমদানি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু এক শ্রেণীর মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ‘ব্যাক টু ব্যাক এলসি’র নামে লবণ আমদানি করছে । এদের চিহ্নিত করে সরকারের এখনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কক্সবাজারের লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন কক্সবাজার জেলায় উৎপাদনযোগ্য লবণ জমির পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার ৫৯৬ একর। চাষীর সংখ্যা হচ্ছে ২৯ হাজার ২৮৭ জন।
আনন্দবাজার/শহক