ঢাকায় মাহমুদুর রহমান নামের দাফন করা লাশটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর বলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। সাভার থানার ওসি মো. জুয়েল মিয়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মো. জুয়েল মিয়া বলেন, তিন দিন আগেই আমরা ডিএনএ রিপোর্টটি আদালতে জমা দিয়েছি। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আর লাশটি হারিছ চৌধুরীরই বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ডিএনএ রিপোর্টের ব্যাপারে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কামারুন মুনিরা বলেন, ‘বিষয়টি আদালতের। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই। আদালতই বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন।’
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। তবে এখনো আইনিভাবে কোনো তথ্য উপাত্ত তার কাছে আসেনি। আগামীকাল বুধবার তার আইনজীবী উচ্চ আদালতের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সাথে আলোচনা করে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করবেন।
হারিছ চৌধুরী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে তিনি আড়ালে চলে যান। এরপর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হারিছ চৌধুরী নাম পাল্টে হয়ে যান প্রফেসর মাহমুদুর রহমান। ২০২১ সালে তিনি মারা গেলে সেই মাহমুদুর রহমান পরিচয়েই তাকে ঢাকার সাভারে সমাহিত করা হয়। কিন্তু তিনি যে হারিছ চৌধুরী সেটি প্রমাণ করা অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে গত ১৬ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।