ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত দিয়ে পোশাক রপ্তানি বন্ধ করলো বাংলাদেশ

সম্প্রতি ভারত দিয়ে তৈরি পোশাক রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের বিমানবন্দর ও নৌবন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি না করে- তার পরিবর্তে মালদ্বীপের মাধ্যমে পোশাক-পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারকের এ পদক্ষেপে ভারতের বিমান ও নৌ বন্দরগুলো বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

শনিবার (২ নভেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম লাইভমিন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যে এ সংবাদ জানা গেল।

লাইভমিন্টকে এমএসসি এজেন্সি (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেডের মহাপরিচালক দীপক তিওয়ারি বলেছেন, ‘আগে বাংলাদেশের পণ্য ভারতীয় বিমানবন্দরের মাধ্যমে পরিবহন হত। কিন্তু এখন তারা অন্যান্য রুটে তাদের পণ্য পরিবহন করছে। ফলে আগে এসব পণ্যের কার্গো থেকে ভারত যে রাজস্ব পেত সেটি এখন পাচ্ছে না।’ মেডিটেরিনিয়ান শিপিং কোম্পানি (এমএসসি) বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কার্গো পরিবহন সংস্থা।

এখাতের সংশ্লিষ্ট তিন ভারতীয় কর্মকর্তা জানান, মালদ্বীপে সমুদ্রপথে পোশাক পণ্য পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ, সেখান থেকে তা এয়ার কার্গোতে করে এইচঅ্যান্ডএম-সহ বৈশ্বিক ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে।

তাঁরা বলেছেন, রপ্তানির এই বিকল্প রুটের কারণে ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দুর্বল হতে পারে, এবং পণ্য পরিবহন ও অবকাঠামো প্রকল্পগুলোয় দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সুযোগও হ্রাস পাবে।

বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মাধ্যমে পোশাক পণ্য রপ্তানি করায়– দেশটির সরকার ট্রানজিট ফি ও বন্দরের শুল্ক বাবদ যে বিপুল আয় করতো। পণ্য পরিবহনের ব্যবসাও হতো লাভবান, এখন এই আয়ে ভাটা পড়বে আশঙ্কা তাঁদের।

একজন কর্মকর্তা লাইভমিন্টকে বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে, ভারত সরকার একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজছে — যা ভারত হয়ে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানির বিষয়টি নিশ্চিত করবে এবং ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে।’

অপর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত এসব পোশাক পণ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ভারতীয় অবকাঠামো বা কারখানায় উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় কোম্পানিগুলোই এসব কারখানা পরিচালনা করে। এই বিষয়টি (ভারত) সরকারের নজরে রয়েছে। ভারতের ওপর এটির প্রভাব কেমন হতে পারে এখন আমরা সেটি নিরূপণের চেষ্টা করছি।’

বাংলাদেশের মোট রপ্তানিতে ৮০ শতাংশ অবদান রাখে পোশাক শিল্প।

সংবাদটি শেয়ার করুন