ঢাকা | মঙ্গলবার
৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি প্রকাশকদের বয়কট করতে ঐক্যবদ্ধ ১০০০ লেখক

ফিলিস্তিন অঞ্চলে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ইসরায়েলি প্রকাশকদের বয়কট কারার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অ্যানি এরনাক্স, বুকার পুরস্কার বিজয়ী অরুন্ধতী রায়সহ বিশ্বের এক হাজারেরও বেশি লেখক ও সাহিত্যিক।

ইসরায়েলি প্রকাশকদের বয়কট করার অঙ্গীকারে তারা সই করেছেন।চিঠিতে বলা হয়, আমরা ইসরায়েলি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করবো না, যারা ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে নীরব দর্শক হিসেবে কাজ করেছে।

লেখদের মধ্যে রয়েছেন আইরিশ লেখক ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের নীতির দীর্ঘদিনের সমালোচক স্যালি রুনি, পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ভিয়েত থান নগুয়েন এবং বুকার পুরস্কার স্বীকৃত লেখক মাজা মেনগিস্টের মতো সাহিত্যিক।

লেখকদের এই অঙ্গীকারের আয়োজন করেছিল বুকস এগেইনস্ট জেনোসাইড এবং দ্য প্যালেস্টাইন ফেস্টিভ্যাল অব লিটারেচারসহ ছয়টি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ।

এই গ্রুপগুলো ৯৮টি ইসরায়েলি প্রকাশনা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, মাত্র একটি ‘নভেম্বর বুকস’ প্রকাশ্যে বৈষম্য ও বর্ণবাদের বিরোধিতা করে।

অনেক ইসরায়েলি প্রকাশক দখলদারিত্বকে সমর্থন করে উল্লেখ করে আয়োজকরা বলছেন, সেখানে ‘মোদান পাবলিশিং’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রচারণামূলক বই তৈরি করে। ‘বার-ইলান ইউনিভার্সিটি প্রেস’ ইহুদি জাতীয় তহবিলের সাথে অংশীদারিত্বে ‘ভূমি নির্মাণ এবং বসতি স্থাপন’ প্রচারের জন্য পুরস্কার প্রদান করে। এক খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি অবিচারকে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সংস্কৃতিতে একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছে প্রকাশক, সম্পাদক ও এজেন্টরা।

এ চিঠির প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাজ্যের আইনজীবীরা বাণিজ্য সংস্থা এবং প্রকাশকদের কাছে একটি পৃথক বিবৃতি জমা দিয়েছেন। সেখানে তারা যুক্তি দিয়েছেন, বয়কটের ডাকটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একঘরে করে, যা ‘স্পষ্টতই ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক’।

এদিকে প্যালফেস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওমর রবার্ট হ্যামিল্টনসহ ইসরায়েলি প্রকাশনা বয়কটের ডাক দেওয়া অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো বলছে, ইসরায়েল নৈতিকভাবে দেউলিয়া। তাদের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে যে, ইসরায়েলের সমর্থকদের কিছু বলার নেই। তথ্যসূত্র: টিআরটি।

সংবাদটি শেয়ার করুন