১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের এক সিদ্ধান্তের ঘটনায় ২০০৬ সালের মামলায় বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রে সদ্য রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী এই পরোয়ানা স্থগিতের বিষয়টি জানিয়েছেন।
পোস্টে মুশফিকুল ফজল জানান, ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক একটি চুক্তি বাতিলের দায়ে স্মিথ কোজেনারেশন ক্ষতিপূরণ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলা করে। ১৯৯৭ সালে স্মিথ কোজেনারেশন তৎকালীন বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি বার্জ-মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য অনুমতি দিয়েছিল সরকার।
তিনি আরও জানান, এই মামলায় দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর ওয়াশিংটন ডিসি সার্কিট কোর্ট অনেকটা এখতিয়ারবহির্ভূত একটি রায় দেন, যা আজ শুক্রবার আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়। যদিও বিষয়টির সাময়িক অবসান ঘটেছে; তবে লুটেরা সরকারের দায় রক্তস্নাত বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিতে পারে না। বাংলাদেশ সরকারের সে সময় জড়িতদের বিরুদ্ধে এবং বিষয়টি বর্তমান সরকারের নজরে না এনে ধামাচাপাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালত ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ কার্ল জে নিকোলস ২৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এক আদেশে সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও আহসান এইচ মনসুরকে আটক করে আদালতে আনার জন্য ইউএস মার্শাল সার্ভিসকে নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার খাতের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্মিথ কোজেনারেশন কোর্টে ৩১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারের একটি সালিশি মামলা করেন।
আনন্দবাজার/ আরবি
