রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পর তা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়। শনিবারও ট্রেনের ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ে কমলাপুর রেলস্টশনে যাত্রীদের মাঝে চরমে ভোগান্তি লক্ষ্য করা যায়। দেখা যায়, প্রতিটি ট্রেন ছাড়ছে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরিতে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) শুধু যাত্রা বিলম্বই নয়, ঢাকা-সিলেট রুটে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ও ঢাকা তারাকান্দি রুটে চলাচলকারী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে যাত্রী ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। স্টেশনে এসেও ট্রেনে উঠতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রীরা স্টেশনের ব্যবস্থাপনা নিয়েও তুলেছেন অভিযোগ। এ ছাড়া নানা সংস্কারের ভিড়ে রেললাইন অবহেলিত থাকায় ক্ষোভ জানান যাত্রীরা।
স্টেশনে অবস্থানরত যাত্রী লিমন হাসান বলেন, “এভাবে ট্রেনের শিডিউল সমস্যায় মারাত্মক ঝামেলার মুখে পড়ছি। দেড়ি তো হয়ই, এহন দেহি ট্রেনই যাইবো না। সব জায়গায় উন্নয়ন লাগলো, ট্রেন পাইছে কচু! যত্তসব!”
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে প্রতিটি ট্রেনই কমলাপুর থেকে প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে ট্রেন ছাড়ার শিডিউল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও ম্যানুয়েল সিগন্যাল দিয়ে চলছে ট্রেন। সিগন্যাল সমস্যা ঠিক করতে কাজ চলছে।
মূলতঃ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত সোয়া ১২টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ট্রেনটির ৩টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। লাইনচ্যুত পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের বগি উদ্ধার হলেও সিগন্যাল সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখনো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তারা আরো জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির রিপোর্ট সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উক্ত ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনটি সাধারণ সময়ের প্রায় আধা ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ে। প্ল্যাটফর্ম পার হওয়ার ২ মিনিটের মধ্যে ঝাঁকুনি অনুভব হয় এবং ট্রেনটি থামানো হয়। পরে নেমে দেখা যায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দেখা গেছে লাইনের পাত ভেঙে গেছে। ট্রেনের গতি কম ছিল বলে কেউ আহত হয়নি।
