ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নেয়া যাবে বিসিএস পরীক্ষায়

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এতে বলা হয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নব নন ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। এতে চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ করার সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে সংবাদকর্মীদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এ সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, এ অধ্যাদেশের আলোক অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিসিএস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ পুনর্গঠন করে একজন প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষায় সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নিতে পারবেন―এমন বিধি সংযোজন করবে।

এ ছাড়া সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে। বিসিএসের আওতা বহির্ভূত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে।

এদিকে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় অভিযোজন-সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে। আর প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।

উল্লেখ্য, এ সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা সর্বোচ্চ পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে তাতে অবসরে যাওয়ার বয়স সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনো কিছু বলা হয়নি।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবির ব্যাপারটি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করে সরকার। তিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান।

সংবাদটি শেয়ার করুন