ঢাকা | বুধবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বীর বিক্রম মতিয়র রহমানের ১৩ তম মৃত্যুবাষিকী পালিত

নিকলীতে বীর বিক্রম মতিয়র রহমানের ১৩তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মরহুমের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বাদ আসর নিকলী সদরে জেলা পরিষদ কাম-অডিটোরিয়ামে ” মরহুম বীর বিক্রম মতিয়র রহমান এর” বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন বীর বিক্রম মতিয়র রহমান স্মৃতি সংসদ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুর্শিদ আলী মাস্টার এর সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির অন্যতম নেতা কামরুল হাসান ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ আবদুল মান্নান এর যৌথ সঞ্চালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেনঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক আবীর, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.মানিক মিয়া,উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু তাপস সাহা অপু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম হেলিম তালুকদার, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম মেম্বার,
নিকলী মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দীপক কুমার বিশ্বাস, নিকলী জিসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কারার আবদুল রশিদ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ খায়রুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ রনি আহমেদ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিক মাহমুদ আষাঢ় উপজেলা জাসাস এর আহ্বায়ক শেখ রানা ও সদস্য সচিব তাজভীর হোসেন প্রান্ত,ছাত্রদল নেতা হিমেল আহমেদ, নিকলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্ববায়ক পিয়াস নিকলী উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু জামাল খোকন সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মী প্রমুখ।

স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মতিয়র রহমার বীর বিক্রম মৃত্যুর ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও তার স্মৃতি রক্ষার কোন উদ্দ্যেগ বাস্তবায়িত হয়নি নিকলীতে। মতিউর রহমান ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি নিজের এলাকায় গিয়ে ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করতে থাকেন। পরে তিনি ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে বড়ছড়া সাব-সেক্টরে পাঠানো হয়। পরে তিনি কোবরা কোম্পানির যোদ্ধাদের নিয়ে ৩ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন কিশোরগঞ্জ এলাকায় আসেন। ২০ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী এবং ৯ নভেম্বর করিমগঞ্জের ইটনায় তিনি যুদ্ধ করেন। ২৭ নভেম্বর তাঁর কোবরা কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধারা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অষ্টগ্রাম মুক্ত করে কিশোরগঞ্জের ভাটি এলাকায় এক বিরাট মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলেন। গচিহাটাতেও তাঁর কোবরা কোম্পানি কৃতিত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। বীর বিক্রম মতিয়র রহমান ৬ অক্টোবর ২০১২ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন