নেপালে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৮ জন।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির দুর্যোগ বিষয়ক এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
নেপালের স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকেই বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ফলে দুর্যোগবিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিভিন্ন স্থানে নদীর পানি বিপজ্জনক সীমায় পৌঁছানোর কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিভিন্ন সংস্থা এবং স্থানীয় উদ্ধারকারী টিমের সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ। তারা নিখোঁজ লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছেন।
এ ছাড়া, রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত বেশ কিছু নদীর পানি বেড়ে গেছে। ফলে তীর ঘেঁষে থাকা বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে যানবাহন পানিতে ডুবে গেছে। ফলে, উদ্ধারকাজে সহায়তা দিতে তিন হাজারের বেশি নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা হেলিকপ্টার এবং মোটর চালিত নৌকা দিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।
ভূমিধসের কারণে আমাদের প্রায় আটটি রাস্তার বিভিন্ন অংশ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান কাঠমান্ডু ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা বিশ্বরাজ খাদকা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই কাঠমান্ডুর অভ্যন্তরে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বাতিল করা হয়েছে। জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমী বৃষ্টির কারনে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে প্রতি বছর বহু মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের খবর পাওয়া যায়। এছাড়া গত কয়েক বছরে বন্যা এবং ভূমিধসের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছর বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নেপালে ১৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর এএফপির।