ঢাকা | রবিবার
২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমিক বিক্ষোভে ব্যাহত পোশাক রপ্তানি

দেশের পোশাক শিল্পে চলমান অস্থিরতা রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অনেক বিদেশি ক্রেতা আগামী মৌসুমের জন্য কার্যাদেশ চূড়ান্ত করতে এ দেশে তাদের সফর বাতিল করেছেন।

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমের দেশগুলোয় উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার পরও বিদেশি ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর জন্য বাংলাদেশ আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছিল।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনও তাই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা এখনো জুলাইয়ের বেতন পাননি। এটা অশান্তির বড় কারণ। পোশাক শিল্পের কিছু সংশ্লিষ্ট বিষয় আছে। যেমন শ্রমিকদের খাবার সরবরাহ, পরিবহন ও কারখানা থেকে পোশাক বর্জ্য বিক্রি করা। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এসব পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন গোষ্ঠীগুলো প্রতিযোগিতা করছে। প্রায়ই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে।’

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ৯৬ শতাংশের বেশি কারখানা চালু হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ৪৩ পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল।’তিনি জানান, গতকাল এক বৈঠকে শ্রমিকদের আস্থা রাখতে কারখানা মালিকদের কারখানায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খন্দকার রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সময় ১৪ দিন পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। সাম্প্রতিক সহিংসতায় কারখানা বন্ধ ছিল তিন থেকে চার দিন।’সময়মতো পণ্য চালান নিশ্চিত করা যাবে কিনা তা নিয়ে বিদেশি ক্রেতারা প্রশ্ন করছেন। কারণ তারাও কারখানায় উৎপাদন নিয়ে চিন্তিত।

আনন্দবাজার/ আরবি

সংবাদটি শেয়ার করুন