জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এরমধ্যে গণহত্যায় উসকানি দেয়ায় ৩২ জন সিনিয়র সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আন্দোলনে নিহত রিহানের বাবা গোলাম রাজ্জাক এ আবেদন করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী গাজী এইচ তামিম।
তিনি জানান, নিহত নাসির হাসান রিহানের বাবা গোলাম রাজা এ অভিযোগ আনেন। রাজধানীর শ্যামলির রিং রোডে বিজয় মিছিলে গুলিতে নিহত হয় রিহান। এ ঘটনায় ধানমন্ডির তদন্ত সংস্থায় বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ আনেন রিহানের বাবা। অভিযোগে শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ ও সাংবাদিকরা আছেন। গত ৩ আগস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তাকে আন্দোলন দমনের ক্ষেত্রে সঙ্গে থাকার আশ্বাস দেয়া হয় এই মর্মে সাংবাদিকদের আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাদেশের সাবেক তথ্য কমিশনার মাসুদ ভাট্টি, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও আইনজীবী নিঝুম মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নইম নিজাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক ও টিভি সঞ্চালক নবনিতা চৌধুরী, এবি নিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, সময় টিভির সাবেক বার্তা প্রধান তুষার আবদুল্লাহ, ডিবিসির সম্পাদক জাহেদুল হাসান পিন্টু, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম ও চ্যানেল আইয়ের সোমা ইসলাম।
এ ছাড়াও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান প্রভাষ আমিন, একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রূপা, একাত্তর টিভির বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ, একাত্তর টিভির হেড ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের মিথিলা ফারজানা (মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলা), ইন্ডপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীস সৈকত, এশিয়ান টিভির হেড অব নিউজ মানষ ঘোষ, ডিবিসির প্রনব শাহা, এটিএন নিউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নি শাহা, এটিএন বাংলার সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন (জাহিরুল ইসলাম মামুন), দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, চ্যানেল আইয়ের সোমা ইসলাম, ইত্তেফাকের শ্যামল সরকার, সমকালের অজয় দাশ প্রমুখ।