অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে বিভিন্ন নৈরাজ্য, দুর্নীতির সংখ্যা কমে আসছে। যার কারণে জনমনেও ফিরে আসছে স্বস্তি। নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী জানালেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)এর সেবা নিতে গিয়ে কোনো ভোগান্তির মুখে পড়েননি তিনি। খুব অল্প সময়েই তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ছাত্র আন্দোলনের জেরে দীর্ঘ একমাস বন্ধ থাকার পর সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এদিনই সেখানে হাজির হয়েছিলেন এই নির্মাতা।
এদিন ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অমিতাভ রেজা চৌধুরী লিখেছেন, বিআরটিএ-তে গেলাম আজ। পাঁচ মিনিটে কাজটা হয়ে গেল। সবাই নিয়মমতো কাজ করছে মনে হল, দৃশ্যত কোনো দালাল জাতীয় মাল দেখা গেল না। ভালোই লাগল।
তিনি লিখেছেন, কিন্তু সমস্যা হলো সবার মন খারাপ। কারণ হয়তো একটাই- তারা প্রতিদিনের যে উপরিটা পেত, যেটা দিয়ে বাজার করে নিয়ে যেত। পাঙ্গাশ মাছটা কিংবা ছেলের জন্য আইসক্রিম কেক, সেই কেকটা মনে হয় আপাতত হচ্ছে না। মানবিক মর্যাদা নিয়ে বাঁচার জন্য তাদের যে বেতন আর দ্রব্যমূল্য তার কোনো মিল নেই। মিল নেই ৫০০ কোটি ডলারের, হাজার কোটি টাকা লুটের। তিনি আরও লিখেছেন, ট্রাফিক জ্যাম দেখে মন খারাপ কইরেন না, ন্যায়বিচার আর সামাজিক মর্যাদার পক্ষে থাকেন। বেশি জ্যামে পড়লে আয়নাঘরের বিবরণ শোনেন, দেখবেন, হাঁ হুতাশ করবেন না, জ্যামও এখন ভালো লাগবে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গত ১৮ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিআরটিএর কেন্দ্রীয় ডেটা সেন্টার, পুড়ে যায় ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার। যার কারণে বন্ধ হয়ে যায় সেবাদান। এরপর সোমবার থেকে পুনরায় সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।