যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘সেন্টার অব অ্যাক্সিলেন্স’ স্লোগানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট’।
রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের হাই পারফরমেন্স, ক্রীড়ার সামগ্রিক সফলতা অর্জন, ক্রীড়াবিদদের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্রীড়া কৌশল ও নেতৃত্বগুণের উন্নয়ন তথা সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় গৌরব অর্জনের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “সেন্টার অফ এক্সিলেন্স” স্লোগানে, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউট।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়া-ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চ ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খ্যাতনামা স্পোর্টস প্রতিষ্ঠানের সাথে কার্যকর কোলাবোরেশনের মাধ্যমে বিশেষায়িত স্পোর্টস সেবা ও অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করবে। স্পোর্টস এবং সাইন্সের মেলবন্ধন ঘটিয়ে ক্রীড়া-ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে ইউকে, ইউএসএ, চীন, ফ্রান্সসহ উন্নত অনেক রাষ্ট্র। বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায় বাংলাদেশও। উপরোল্লিখিত সকল বিষয়ে- লক্ষ্যে পৌঁছানো, সেবার মান নিশ্চিত করা এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউটে যুক্ত হবেন দেশ এবং দেশের বাইরের এক্সপার্টগণ। দ্রুততম সময়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বদ্ধ পরিকর। এদেশের ক্রীড়াঙ্গনের মানুষের জন্য সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হিসেবে আশীর্বাদ হয়ে আসবে বাংলাদেশ স্পোর্টস ইন্সটিটিউট।
এ ছাড়া, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)’র বেশ কিছু শাখা আছে দেশে। সেখানে আছে অবকাঠামোও। তবে নতুন স্পোর্টস ইন্সটিটিউট একদম স্বতন্ত্রভাবে করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এজন্য অবকাঠামোও নির্মাণ করার কথা বলেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা, ‘বিকেএসপির মাধ্যমে নয়, এটি একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হবে। আমরা দেখব যে অবকাঠামো আছে তার মধ্যে করা যায় কিনা। না হলে ভবন নির্মাণের মাধ্যমে এটা আমরা করব। আসিফ আরো বলেন, দেশের চলমান সঙ্কট কাটিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের সকল ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ এবং কার্যক্রম চলমান রাখতে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।