বাংলাদেশ থেকে বছরে কমপক্ষে দুই হাজার ট্যাক্সি ও মোটরসাইকেল চালক নেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি মালিকানাধীন সংস্থা ‘দুবাই ট্যাক্সি’।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব-আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদীর-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে সংযুক্ত আরব-আমিরাত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। সংযুক্ত আরব-আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। দক্ষ জনবল প্রেরণের মাধ্যমে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
মে মাসে সফরকালে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেসব কোম্পানি জনবল নিয়োগ করে, তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম সারির ১৬টি কোম্পানির চেয়ারম্যান বা প্রধান নির্বাহীকে সঙ্গে বৈঠক করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্যে অন্যতম দুবাই ট্যাক্সি। সেই বৈঠকের ফলে ইতিমধ্যেই দক্ষ কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে দুবাই ট্যাক্সি করপোরেশন। শফিকুর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৩০০ জন ট্যাক্সি ও মোটরসাইকেল চালক নেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর মধ্যে ১ হাজার জন মোটরসাইকেল চালক এবং ৩০০ জন ট্যাক্সি চালক। এছাড়া আগামী বছর থেকে কমপক্ষে ২ হাজার জন করে ট্যাক্সি ও মোটরসাইকেল চালক নেবে দেশটি। চলতি বছর ১ হাজার ৩০০ কর্মী পাঠানো হবে। আগামী বছরগুলোতে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব-আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদীর বলেন, সংযুক্ত আরব-আমিরাত আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাঁদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সংযুক্ত আরব-আমিরাতে দক্ষ জনবল প্রেরণের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। কর্মী নেওয়ার বিষয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদী বলেন, চলতি বছর ১ হাজার ৩০০ ট্যাক্সি চালক ও মোটরসাইকেল আরোহী নিয়োগ দেওয়া হবে। পরবর্তী বছরগুলোতে এই সংখ্যাটি প্রতি বছর ২ হাজার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই শ্রমিকেরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন পাবেন।