ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খেলাপি ঋণ রেকর্ড ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা

খেলাপি ঋণ রেকর্ড ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংকিংখাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ সর্বকালের সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা, যা আগের তিন মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংকখাতে মোট বিতরণ (আউটস্ট্যান্ডিং) করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

তার আগের প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৯ শতাংশ। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৫০ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা।

বর্তমানে বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশই খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত ১০ বছরে খেলাপি ঋণ ৪২ হাজার ৭২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩ কোটি টাকা হয়েছে। ব্যাংকখাতে সুশাসনে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে স্বাধীনতা না থাকায় এ নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর যোগসাজশে যে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা তৈরি হয়েছে, তার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতায় তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে অনেক ব্যাংকে।

ব্যবসার মতোই খেলাপি ঋণ মডেলে পরিণত হয়েছে। সুশাসনের অভাব, রাজনৈতিক-ব্যবসায়িক কারণে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন যে পরিস্থিতিতে এসেছে, এত খারাপ অবস্থায় আগে কখনো যায়নি। অবস্থার উন্নতি না হলে খেলাপি কমবে না। এ অবস্থা অবশ্যই কঠোর হাতে দমন করতে হবে। সুশাসন আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন