ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যদিও ইসরায়েলের পক্ষে গাজায় তিন ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শনিবার (১ জুন) সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয় নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরায়েলের শর্ত পরিবর্তিত হয়নি। হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং গাজা যাতে আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয় তা নিশ্চিত করা। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে ইসরায়েল এসব শর্ত পূরণে জোর দিতে থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, এমন চিন্তা-ভাবনা অর্থহীন।
এদিকে গতকাল (শুক্রবার) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন বলেন, ‘এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় এসেছে’। এ সময় তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাব মেনে নিতে হামাসের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিন ধাপের নতুন এই প্রস্তাবে গাজায় পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সুযোগ রয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। হামাসের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ‘হামাস সবসময় বলে থাকে, তারা যুদ্ধবিরতি চায়। এখন হামাসের সামনে প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে যে তারা আসলেই এটা চায় কিনা’।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এছাড়াও গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে। এসব বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করতে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর দিনকে দিন চাপ বেড়েই চলেছে। খবর রয়টার্সের।