বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বিরল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রমাকান্ত রায় বলেছেন- ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে অদ্যাবদি রাতদিন মানুষের সেবা করে আসছি। সেটা বিরোধী দলের থাকা অবস্থায় করেছি এবং আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনও মানুষের সেবা থেকে এক পা বিরত হইনি। এই অঞ্চলের নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থেকেছি সবসময়। যারা আজকে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নাম রটাচ্ছেন তারা অনেকেই আমার হাত ধরেই আওয়ামী লীগে এসেছেন। তারা আর যাই করুক মন থেকে কখনও আওয়ামী লীগ করেনি।
বিরল উপজেলা পরিষদকে কুক্ষিগত করে নিজের আখের গুছিয়েছেন আজ যখন দেখতে পাচ্ছেন নিজের পতন তখন তারা বিভিন্নভাবে আমিসহ আমার সমর্থকদের ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করছেন। যা সুষ্ঠু রাজনীতির ক্ষেত্রে কাম্য নয়। আমি যদি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হই এই উপজেলা পরিষদ হবে জনবান্ধব এবং মেহনতি মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উপজেলা চেয়ারম্যান দ্বারে দ্বারে যাবেন জনগণের প্রত্যাশা পূরণে।
গতকাল রবিবার বিরল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী রমাকান্ত রায় নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন।
বিরল উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিকাল ৪ টায় আয়োজিত পথসভা ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সমর্থক, ভোটার এবং কর্মীদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
এসময় বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পৌর মেয়র আলহাজ¦ সবুজার সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান মাইকেল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বজলুর হক, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং দিনাজপুর জেলা পরিষদের সদস্য মোশারফ হোসেন, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. রবিউল ইসলাম রবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমান আলী, পৌর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইদ্রিস আলী, প্রফেসর আব্দুস সবুর, ৫নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন, ১০নং রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল্লামা আজাদ ইকবাল লাবু, ৬নং ভান্ডারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং বিরল প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, বিরল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক প্রমুখ।