ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, সবশেষ যে তথ্য জানা গেল

আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, সবশেষ যে তথ্য জানা গেল

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত এর গতিবিধি ও প্রভাব সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাবে না। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির।

শনিবার (১৮ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য জানান তিনি।

এই আবহাওয়াবিদ বলেন, সাধারণত মে ও জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে থাকে। এটা বর্ষাপূর্ব ও বর্ষা-পরবর্তী সময়ে হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশঙ্কা করছি, ২০ তারিখের পরবর্তী সময়ে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এটি যতক্ষণ পর্যন্ত না তৈরি হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এর গতিবিধি ও প্রভাব সম্পর্কে বলা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

যেসব প্যারামিটারের ওপর ভিত্তি করে এর গতিবিধি ও প্রভাব পরিমাপ করা যায়, আমরা সেসব বিষয়ে নজর রাখছি উল্লেখ করে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে।

এদিকে চলমান তাপপ্রবাহের বিষয়ে তিনি বলেন, সকাল থেকে ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বর্তমানে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই ধারা যেহেতু অব্যাহত আছে, আমরা আশা করছি অধিকাংশ জায়গা থেকেই তাপপ্রবাহ প্রশমিত হবে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এই সময়ে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আর রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। যেসব এলাকায় বৃষ্টিপাত হবে সেসব এলাকায় চলমান যে তাপপ্রবাহ রয়েছে, সেটি প্রশমিত হবে। অর্থাৎ, আজ থেকেই দেশের অধিকাংশ এলাকা থেকেই তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে দু’এক জায়গায় তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আগামী তিন থেকে চারদিন অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে এই সময়ে আবহাওয়া অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন