সরকার আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে। এরমধ্যে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এতে প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা। তিনি জানান, একই সঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।
যদিও গত বছর ধানের সংগ্রহমূল্য ছিল ৩০ টাকা ও চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল ৪৪ টাকা।
আগামী ৭ মে থেকে ধান-চাল কেনা শুরু হবে, সংগ্রহ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান যদি ৫ লাখ টনের বেশি কেনা যায় সেটা কেনা হবে। কৃষকের সুবিধার্থে আরও ধান আমরা কিনবো। এক্ষেত্রে ওপেন রাখা হয়েছে। কমিটিতে সেটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাওরসহ যেখানে যেখানে ধান কাটা শুরু হয়েছে, সেখানে ৭ মে থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। বোরো ধান ও চালের উৎপাদন খরচ গত বছরের থেকে বেশি হওয়ায় এবার সংগ্রহ মূল্য কিছুটা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দামের কারণে কৃষক একটু উৎসাহিত হোক। না হয় কৃষক অন্য শস্যে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের চালের প্রয়োজন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারি গুদামে চাল ও গম মিলিয়ে মোট খাদ্যশস্যের মজুত ১২ লাখ টন রয়েছে। এরই মধ্যে বন্দরে ১ লাখ ২০ হাজার টন গম এসে পৌঁছেছে, আরও তিন লাখ গম কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে পহেলা বৈশাখ থেকে চালের বস্তায় ধানের জাতের নাম ও মিলগেট মূল্য লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অলরেডি সেটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আপনারা মিলগুলোতে খোঁজ নেন। তবে মার্কেট থেকে পুরোনো চাল যেতে সময় লাগবে। নতুন চাল ঢোকা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে তো চালকল মালিকরা সময় চেয়েছিল এ বিষয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সময় দিলে সময় চাইতেই থাকবে। এখানে সময়ের কোন ব্যাপার নাই। তাদের ৫৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল, এটা যথেষ্ট। আমরা এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মিটিং করেছি, জেলা প্রশাসকরা মিলারদের সঙ্গে মিটিং করেছে। তারপরও যদি বাস্তবায়ন না হয়, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।