ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বুধবার (২০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে এর সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। সরকারই প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক করে দিয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। সেখানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ পাঠানোর বিষয়ে চিঠি ইস্যু করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ভারতের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গত আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সরকার ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। এরপর গত অক্টোবরে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয় টনপ্রতি ৮০০ মার্কিন ডলার। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এসব পদক্ষেপ খুব বেশি কার্যকর না হওয়ায় গত ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয়। ভারতের এ নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মুড়ি কাটা পেঁয়াজের দাম ওঠে ১৪০ টাকা পর্যন্ত।
রোজার শুতেই বাংলাদেশকে ভারত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেবে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে চলে আসবে বলেও আশাবাদি ব্যক্ত করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তবে ভারতের পেঁয়াজ এখনো বাংলাদেশের বাজারে আসেনি।
ভারতের পেঁয়াজ না আসলেও বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে কমছে পেঁয়াজের দাম। কিছুদিন আগে যে পেঁয়াজের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা ছিলো এখন সেই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৫৫-৬০ টাকা।
