ঢাকা | মঙ্গলবার
২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুষ দিলেই ছুটি মিলে শিক্ষা কর্মকর্তা কাছে

ঘুষ দিলেই ছুটি মিলে শিক্ষা কর্মকর্তা কাছে

আমি এবং আমার অফিস দুর্নীনিত মুক্ত এমনটি লেখা পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে। কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। সম্প্রতিক একটি ভিডিওতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার চিত্র দেখা যায়।

জানা যায়, উপজেলায় ১৪৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলোমান দায়িত্বে আছে শিক্ষা কর্মকর্তা সহ তিনজন। ক্লাস্টার ভাগ করে বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা। বিভিন্ন সময় উজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিটলারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে আছে ঘুষ বানিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ। ওই কর্মকর্তা এই ঘুষ বানিজ্যের সাথে জড়িত আছেন শিক্ষক প্রতিনিধি গন। সাম্প্রতিক মোসাঃ সাবিকুন নাহার সহকারি শিক্ষিকা ,৭১নং পূর্ব আলপিুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মেডিকেল ছুটি নিয়ে প্রতিমাসে নিয়মিত হাজিরা, বেতন উত্তোলন, মাসিক রিটাং এ স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন তার বিনিময়ে তাকে দিতে হয় ঘুষ।।

উপজেলার ৮৯নং আদমপুর বজলুর রহমান ফাউন্ডেশন এর সহকারি শিক্ষিকা তামান্না জাহান, ১৪৪ নং রচহাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জিন্নাত হোসেন, ১০৫ নং মীরমদন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা বিবি হাজরা,১৪০ নং উত্তর চরহাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃসাইফুল সহ অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে মেডিকেল ছুটি নিয়ে নিয়মিত হাজিরা,বেতন উত্তোলন, মাসিক রিটাংএ স্বাক্ষর ও জমাদিয়ে থাকেন। তামান্না বেগম পাচঁমাসের বেতন উত্তোলন করেন তাহার সিংহভাগ শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষককে দেন।।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বহু শিক্ষক দাবি করেন শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘুষ দিলে সবই সম্ভব।তারা আরো বলেন একজ শিক্ষক- শিক্ষিকা মেডিকেল ছুটি নিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর, বেতন উত্তোলন, মাসিক রিটাংএ হাজিরা থাকে কিকরে এ গুলো সবই হয় টাকার বিনিময়ে শিক্ষা কর্মকর্তা এ সকল কাজ করে থাকেন। যাহা সম্পূর্ন অবৈধ।

এ ছাড়া বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাকে মৌখিক আদেশের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ছুটি দেন এবং এক বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে ক্লাশ করার অনুমতি দিয়ে থাকেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ৭১ নং পূর্ব আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সাবিকুরন্নাহার বেগমকে তাহার মুঠোফোনে ফোন দিলে ঘুষ দিয়ে ছুটি নেয়ার বিষয় জানতে চাইলে ফোন কেটে দেয় পরবর্তীতে আকাধিক বার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেনি। অন্যন্য শিক্ষক-শিক্ষাক গন প্রাথমিক ভাবে ফোন রিসিভ পরিচয় পাওয়ার পর আর কথা বলেনি।

সরেজমিনে কয়েকদিন ধরে প্রতিটি বিদ্যালয়ে গেলে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পাওয়া যায়নি। প্রধান দের কাছে তথ্য চাইলে বলেন আমার কাছে কোন তথ্য নেই শিক্ষা অফিসার স্যার জানেন তিনিই বলতে পারবেন।

পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বক্তিয়ার রহমান জানান,দশমিনা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ঘুষ বা কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকলে তার প্রমান পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিটলারুজ্জামান এর ঘুষ নেয়ার বিষয় ফোনে কথা বলতে রাজি নান,তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে বিষয়টি দামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন