শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক সংকট মেটাতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (০২ মার্চ ) আইডিইবি (ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশ) মিলনায়তনে আইডিইবির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি সম্মেলন ও বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন শিক্ষক সংকট নিরসনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাজে লাগাতে এবং বর্তমান শিক্ষাক্রমের যে শিক্ষা দর্শন, অ্যাক্টিভিটি বেইজড লার্নিং, সেখানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। যেহেতু আমাদের চাহিদা আছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে আসতে পারেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত ও বিজ্ঞানের অনেক শিক্ষক প্রয়োজন।
আমরা মনে করছি, ৬০ হাজারের মতো গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সেখানে আমাদের ডিপ্লোমা পাস করা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োজিত করতে পারলে শিক্ষক সংকট সমাধান করা সম্ভব হবে। সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে। তবে এ বিষয়ে কোন পর্যায়ে কত সংখ্যক শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে সে বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সদের স্নাতক সমমানের মর্যাদা দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, একজন এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর বিএসসি (পাস কোর্স) পাস করতে সময় লাগে ৫ বছর। অন্যদিকে ডিপ্লোমা পাস করতে সময় লাগে ৪ বছর। সে ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা পাস করা একজন শিক্ষার্থী এক বছর কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তাঁকে বিএসসি (পাস) সমমানের মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে। সে বিষয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আইডিইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি. এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—ইঞ্জি. রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মো. শামসুর রহমান।