জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়ে বিশ্বজুড়ে হামের সংক্রমণ গত এক বছরে বেড়েছে ৭৯ শতাংশ। সংস্থাটি বলেছে, বর্তমানে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চলে হামের প্রাদুর্ভাবের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ডব্লিউএইচও’র হাম ও রুবেলা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ টেকনিক্যাল উপদেষ্ঠা নাতাশা ক্রোক্রফ্ট জানান, ২০২০ সালে করোনা মাহামারি শুরু হওয়ার পর প্রথম দুই বছর বিশ্বের অধিকাংশ দেশে শিশুদের হামসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগের টিকাদান কর্মসূচি থেমে গিয়েছিল বা স্থবির পর্যায়ে ছিল।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে হামের প্রাদুর্ভাবের যে উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রধান কারণ এটিই। ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সংস্থাটির নথিবদ্ধ তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বজুড়ে ৩ লাখ ৬ হাজার মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছেন। শতকরা হিসেবে এই সংখ্যা ২০২২ সালের চেয়ে ৭৯ শতাংশ বেশি।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে হামে আক্রান্তের হার বেড়েছে ৭৯ শতাংশ উল্লেখ করে এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে ফের গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাতাশা ক্রোক্রফ্ট বলেন, গত দুই বছরে আমাদের স্বাভাবিক টিকাদান কর্মসূচিতে বড় একটি শুণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ এখন হামের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। যদি এখন থেকে আমরা সচেতন না হই, তাহলে ২০২৪ সালে পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে মোড় নেবে। ইতোমধ্যে অনেক দেশে প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে বলে জানান নাতাশা।
প্রসঙ্গত, ভাইরাসজনিত রোগ হাম খুবই ছোঁয়াচে এবং বাতাসের মাধ্যমে এটি ছড়ায়। পাঁচ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী শিশুরা এই রোগের আক্রমণের শিকার হয়। দুই ডোজের একটি টিকা হাম থেকে সুরক্ষা দেয়। বিশেষ করে মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে হামের মহামারির ঝুঁকি অনেক বেশি। সূত্র : রয়টার্স