ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আখাউড়া ইমিগ্রেশনে সার্ভার ধীরগতি: ভোগান্তিতে যাত্রীরা

আখাউড়া ইমিগ্রেশনে সার্ভার ধীরগতি ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সার্ভার দুর্বলতায় বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশে যাত্রী পারাপারে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই এ সমস্যা দেখা দেওয়ায় এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে দুই দেশের যাত্রীরা।

ইমিগ্রেশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে তিনটি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ডেস্কে বহির্গমন এবং এটিতে আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সকাল থেকে যাত্রী চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্ভার দূর্বল হয়ে যায়। যে কাজ করতে ২ মিনিট সময় লাগত সেখানে একই কাজ করতে ১৫-২০ মিনিট লেগে যাচ্ছে। এ সময় ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে তাদের কাজ করতে হয়েছে। এ অবস্থার ফলে নারী শিশু, রোগীসহ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। তাছাড়া ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় বসার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় রোগী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

সিলেটের মৌলুভী বাজারের বাসিন্দা মো: মহসিন আলী বলেন, আমার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছি, প্রায় দুই ঘন্টা যাবত লাইনে দাড়িয়ে আছি৷ কাজ হচ্ছে কচ্ছপ গতিতে। আমার মা একইত বৃদ্ধ তার উপর অসুস্থ , এখানে বসার কোন পরিবেশ না থাকায় বৃদ্ধ মাকে নিয়ে কষ্ট করতে হচ্ছে। ইষিতা দেব রায় জানান স্বামী সন্তান নিয়ে ভারতে ঘুরতে যাচ্ছেন। এ পথে তিনি প্রথম ভারতে যাচ্ছেন। বেলা সাড়ে দশটায় ইমিগ্রেশনে এসে সার্ভার ধীরগতির কারণে বিড়ম্বনায় পরেন। তিনি বলেন দেশ উন্নত হয়েছে। কিন্তু এই দিকটাতে সরকারের নজর দেওয়া উচিত, সিস্টেম গুলো আরো আপডেট হওয়া প্রয়োজন। আর এত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা এখানকার পরিবেশের কথা নাইবা বলি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে তার স্ত্রীকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার সময় এখানে এসেছেন । কিন্তু ১ ঘণ্টা উপর দাঁড়িয়ে থেকে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ হয়নি। বিমানের ফ্লাইট দুপুর ১টায়। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছি।

আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের এএসআই দেওয়ান মোর্শেদুল হক বলেন, সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। হটাৎ করে যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় সার্ভার ধীরগতি হয়ে পরে। তাৎক্ষনিকভাবে আমাদের সফটওয়্যার টেকনিক্যাল টিমের সাথে কথা বলে জানা যায় ইমিগ্রেশনে যে সার্ভার রয়েছে সেইটির ধারণক্ষমতা কম থাকায় যাত্রীদের চাপে সম্পূর্ণ করতে সময় নিচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন