‘রেলের টিকিটের কালোবাজারি একটা বিরাট সিন্ডিকেট। এতে বাইরের লোক, আমাদের রেলের লোক ও যারা টিকিটের দায়িত্বে আছেন তাঁদের লোকজন জড়িত’ বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি জানান, ‘রেলের টিকিট ছাড়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। যারা যাত্রী তাঁরা টিকিট পান না। আগামী রোজা ও ঈদে রেলের যাত্রীদের টিকিট পাওয়া অনেক সহজ হবে।’
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি জর্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজবাড়ীর পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, ট্রেনের সমস্ত টিকিট এজেন্সি ও রেলের কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করেছি। রেলের যেসব বাহিনী আছে, তাদেরকে সম্পৃক্ত করে একটি কমিটি করে দিয়েছি এই কালোবাজারিদের ধরার জন্য। ইতি মধ্যে দুটি গ্রুপ ধরা পড়েছে।
রেলমন্ত্রী আশা করেন আগামী রোজা ও ঈদের মধ্যে রেলের যাত্রীদের টিকিট পাওয়া অনেক সহজ হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিছিয়ে পড়া রেলকে টেনে ওপরে তোলার দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন প্রতিটি জেলাতে রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা সংযুক্ত করা। প্রধানমন্ত্রীর ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে ইতিমধ্যে তিনি কাজ শুরু করেছেন বলে জানান। এ ছাড়া ট্রেনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, ট্রেনের মালামাল চুরি বন্ধ, ট্রেনের ক্যাটারিংয়ে মানসম্মত খাবার পরিবেশন, ট্রেন পরিষ্কার রাখা, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ের কথা বক্তব্যে তুলে করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান (ওদুদ), কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পাংশা পৌর মেয়র ওয়াজেদ আলী মণ্ডল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও-ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুর রহমান রুবেল, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা অংশ নেন।