ইসরায়েলের অভ্যাহত তাণ্ডবে ফিলিস্তিনের গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৬৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত আরও ৬৫ হাজার ৮৭ জন আহত হয়েছে।
এছাড়া, গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬ হাজার ৪২২ জন নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষে জতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজায় আর কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। ইসরায়েলের দাবি, গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইউএনআরডব্লিউএ’র বেশ কয়েকজন কর্মী জড়িত ছিলেন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, আগামীতে ইউএনআরডব্লিউএ যেন আর কাজ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় ইসরায়েল। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সংস্থাটির অন্যান্য প্রধান দাতাদের কাছ থেকে সমর্থন লাভের চেষ্টা করবে তারা।
ইসরায়েলের ইউএনআরডব্লিউএর বিরুদ্ধে এই ‘হুমকির’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। একইসঙ্গে, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ‘হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল’ না করার আহ্বান জানিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, ইউএনআরডব্লিউএ গত শুক্রবার বলেছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলায় জড়িত থাকার জন্য তাদের বেশ কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। তাদের এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। ফৌজদারি বিচারের মাধ্যমে’ এসব কর্মীকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
ইসরায়েলের অভ্যাহত এসব হামলায় গাজায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া সংঘাতে ৭ হাজার ৫শ নারী প্রাণ হারিয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ এখন বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে।