চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে অঞ্চলে হঠাৎ তাপমাত্রা কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে জেলার সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদিন অঞ্চলটিতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি। দুপুরে সূর্যের দেখা মিললেও তা উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। মাঘের তীব্র হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েক গুণ।
ফলে এই শীতে বিপর্যস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে এসব মানুষকে। শীতে সময়মত কাজে যেতে পারছেন না তারা। স্থানীয় দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের রিকশাচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল থেকি যে শীত পড়চি মনে হচ্চি যেনে ডিপ ফিরিজের মদ্দি আচি। শীতে হাত-পা সব অবাস হয়ি যাচ্চি। সকালে রাস্তাঘাটে কম লোকজন বের হচ্চি। এতে আমাদের ভাড়া কমি গিয়িচে। এছাড়া মেহেরপুর সদর উপজেলার কাঠালপোতা গ্রামের আরেক কৃষক জানান, খুব ঠাণ্ডা পড়চি। আমার ধানের পাতু (চারা) পুড়ি নষ্ট হয়ি যাচ্চি। ধান লাগানুর সুমায় পাতু পাব কুতায়? এটা নিয়ি চিন্তা হচ্চি।
গত কয়েকদিন চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছিল উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ তা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। আজ চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এটি এ মৌসুমের চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও।
