দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনের জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন নির্বাচন বর্জন করে সরে দাঁড়ালেন। সুষ্ঠুো পরিবেশে ভোটগ্রহণ হবে না এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে শনিবার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে তার ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন জাপা মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন।
নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে আহমেদ রিয়াজ বলেন, আগামীকাল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনে আমি জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সরকার দলের বর্তমান এমপি পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। প্রশাসনের উপর আমার কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। বড়লেখা-জুড়ী দুইটি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জের সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি।
আহমদ রিয়াজ বলেন, একজন মন্ত্রীর সাথে নির্বাচন করতে গিয়ে বেলা শেষে বুঝতে পারলাম এই নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না, কারণ একজন রানিং মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যাওয়ার মতো রিটার্নিং কর্মকর্তা, থানা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কেউ ওনার বিরুদ্ধে যাবে না।
আমি/আমার নির্বাচনী জনসভায় যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছিলেন এবং আমাকে ভালোবেসে যারা ভোট কেন্দ্রে আসবেন তাদের ভোট রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা আজ মনে হচ্ছে আমি রাখতে পারবো না। আমার এজেন্ট ও সমর্থকদের নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। আমি চাইনা তারা মামলার শিকার হোক। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে এই নির্বাচন থেকে আজ সরে গেলাম।
তিনি আরোও বলেন, আমি কেন বার বার কাউকে মন্ত্রী বানাতে সিঁড়ি হবো, নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করে দিলাম আমাকে কেউ টাকা দিয়ে ডামি প্রার্থী করতে পারেনা। আগামীকাল ৭ জানুয়ারি লাঙ্গল মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে আসবেন না। আমি এমপি হওয়ার চেয়ে মনে করি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসুক। আমি বিগত ১০-১১ দিন বড়লেখা-জুড়ী নির্বাচনী এলাকার বহু স্থানে ভোটার, সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছি। আমি আপনাদের বলেছিলাম ভোটাধিকার রক্ষা করতে পারলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো কিন্তু আজ মনে হচ্ছে আমি আপনাদের ভোট রক্ষা করতে পারবো না তাই আমি এই নির্বাচন বর্জন করলাম।
কারও পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হয়নি। বরং মন্ত্রী (আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন) ও তার পরিবারের এত সমালোচনা করেছি, কিন্তু বিন্দু পরিমাণ আমাকে কোনো ধরনের কাউন্টার দেওয়া হয়নি। এমনকি প্রশাসনের ওপর আমার কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। বড়লেখা-জুড়ী উপজেলার পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সবসময় আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন, সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার সবাই যোগাযোগ করেছেন।