চলতি মাসে প্রথম ২২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) প্রায় ১৭ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। দিনে আসছে ৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার বা ৭৮২ কোটি ৫১ লাখ টাকা করে।
রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিজয়ের মাসে দুই বিলয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যা রিজার্ভেও কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, ডিসেম্বরের প্রথম ২২ দিনে এসেছে ১৫৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার ডলার।
এসময় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৭ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
একই সময় রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে প্রায় ৫ কোটি ডলার কম। অক্টোবর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার। তবে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৩৩ কোটি ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার।
এছাড়াও সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।