জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন ছয়টি আবাসিক হল এবং ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এসব ভবন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম সোমবার (১৩ই নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১১ই আগস্ট নবনির্মিত ছয়টি হলের নামকরণ করা হয়। মেয়েদের তিনটি হল ১৭, ১৮ ও ১৯ নং হলের নাম যথাক্রমে বেগম রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেসা হল ও বীর প্রতীক তারামন বিবি হল। এবং ছেলেদের তিনটি হল ২০, ২১ ও ২২ নং হল যথাক্রমে শহীদ তাজউদ্দীন হল, শেখ রাসেল হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হল হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি যে এ ছয়টি হল উদ্বোধন হলে গণরুম থাকবে না। ইতোমধ্যে চেয়ার—টেবিলের টেন্ডার হয়ে গেছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমরা সেগুলো পেয়ে যাব। ইউজিসি আমাদেরকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১৬ টি পদ দিয়েছে, আগের ১৩ টা মিলিয়ে মোট ২৯ টি পদ পেয়েছি। ইতোমধ্যে আউটসোর্সিংয়ের টেন্ডার হয়ে গেছে; টেন্ডার ওপেন হয়েছে; টেন্ডার মূল্যায়ন করে এ মাসের মধ্যে সব ফরমালিটিজ শেষ হবে। হলগুলো উদ্বোধন হলে ডিসেম্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই আমরা শিক্ষার্থীদের হলে উঠাতে পারব।’
নতুন শিক্ষাবর্ষের শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, ‘আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে লোকবল নিয়োগের পর বা এর আগেই আমরা ক্লাস শুরুর চেষ্টা করবো। গত বছর আমরা ৩১ জানুয়ারি ক্লাস শুরু করেছিলাম। সে হিসেবে আমাদের হাতে এখনো আড়াই মাস বা তিন মাস আছে। হল চালু হলে এর মধ্যেই বা অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে যত দ্রুত সম্ভব ক্লাস শুরুর চেষ্টা করবো।’
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর একনেকে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এই অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩টি স্থাপনা তৈরি হবে। ইতোমধ্যে ছয়টি আবাসিক হলের নিমার্ণ কাজ শেষ হয়েছে।