বিদ্যুৎ ও পানিতে ভর্তুকি থেকে সরে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি সব ধরনের ভর্তুকি কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
এছাড়াও, সরকারপ্রধান গ্রাহকের আয় ও এলাকা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও পানির দাম নির্ধারণ করতেও নির্দেশনা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনগুলো তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি মন্ত্রী, আমি পানি বিদ্যুতে যে ভর্তুকি পাই- একই ভর্তুকি যদি একজন দিনমজুর পান তাহলে এটা ঠিক হলো না। তাই প্রধানমন্ত্রী এরিয়া ও ইনকাম ওয়াইজ (এলাকা ও আয়ের ওপর নির্ভর করে) পানি-বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের কথা বলেছেন। এছাড়াও পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে উঁচু ভবন নির্মাণে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। উঁচু ভবনের কারণে বিমান চলাচলে যেন সমস্যা না হয়। এ ছাড়া মহাসড়কের সংস্কারের জন্য টোল আদায় করে তহবিল গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি রাস্তার পাশে জলাধার রাখতে বলেছেন তিনি।
এদিন একনেক সভায় ৪৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ব্যয় করবে ৩০ হাজার ১২৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৭৬৮ কোটি টাকা।