নরসিংদী সদর উপজেলার বৃহত্তর আলোকবালিত চরাঞ্চলে উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত উস্তা। উৎপাদিত এসব উস্তা স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় এবং বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হয় বলে জানান কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আলোকবালিত চরাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৫০০ বিঘা জমিতে অন্যান্য বছরের মতো এবারও চাষ করা হয়েছে বিষমুক্ত উস্তা। চলতি মৌসুমে নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় ১১৭ হেক্টর জমিতে বিষমুক্ত পদ্ধতিতে উস্তা চাষ করা হয়েছে।
বিষমুক্তভাবে উৎপাদন করতে খরচ কম এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান কৃষকরা। তবে এ বছর ফলন ভালো হলেও তীব্র শীত ও সূর্যের আলো না পাওয়ায় ফলনে ব্যাঘাত হচ্ছে বলে জানায় নরসিংদী কৃষি বিভাগ।
চরাঞ্চল বাখরনগর গ্রামের উস্তাচাষী মানিক মিয়া জানায়, স্থানীয় বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বিষমুক্ত পদ্ধতিতে চাষ করা উস্তার চাহিদা বেশি হওয়ায় ভালো দাম পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়না। এ করণে উৎপাদন খরচও অনেক কম লাগে।
অনভিজ্ঞতার কারণে নরসিংদীর চরাঞ্চলে বিষমুক্ত এসব উস্তা চাষে এর আগে কীটনাশক প্রয়োগ করা হত। যে করণে কৃষকের স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি উৎপাদনে বাড়তি খরচ হত। অন্যদিকে বিষমুক্ত উস্তা হাতের নাগালে পাওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াতো। এসব কথা চিন্তা করে নিরাপদ সবজি চাষের আওতায় বিষমুক্ত উস্তা চাষের উদ্যোগ নেন নরসিংদী কৃষি বিভাগ।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কর্মকর্তা শোভন কুমার জানায়, বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছর উস্তার দাম ও চাহিদা বেশি হওয়ায় এই এলাকার উস্তা চাষিরা বেশ খুশি ছিলেন। তবে সম্প্রতি শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায়ে এবং সূর্যের আলো কম পাওয়ায় কারণে উৎপাদন কিছুটা কমে গেছে। এতে করে কৃষকরা সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
আনন্দবাজার/এম.কে