নেপালের পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় আঘাত হানা ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫০ জন ছাড়িয়েছে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল।
দেশটির রাজধানী কাঠমুন্ডু থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের জারাকোত এবং পশ্চিম রুকুম ভূমিকম্পের আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। পুরো নেপাল ছাড়াও ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মানুষও শক্তিশালী কম্পন অনুভব করেছেন।
ভূমিকম্পের আঘাতে আরও প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, জারাকোতের হাসপাতাল আহত মানুষে এখন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে আতবিসকোত পৌরসভার মেয়র রবি কেসি জানিয়েছেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। ফলে বাড়ির ভেতর যাওয়ার বদলে বাইরেই অবস্থান করছেন তারা। মধ্যরাতে হঠাৎ শক্তিশালী কম্পন অনুভব করেন তারা। এরপর সেখানকার সব বাসিন্দা বাড়ির বাইরে চলে আসেন। ভূমিকম্পের আঘাতে মাটির কয়েকশ ঘর ভেঙে গেছে এবং এখন সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রথম ভূমিকম্পের এক ঘণ্টার মধ্যে আরও তিনটি ছোট ভূমিকম্প আঘাত হানে। আরও ভূমিকম্প আঘাত হানার শঙ্কা থেকে মানুষ সারারাত বাড়ির বাইরেই অবস্থান করেন। এছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেক উঁচু ভবন ধসে পড়েছে এবং রাতের আঁধারেই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালান সাধারণ মানুষ।
দেশটির কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, নেপালে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ছিল ৫ দশমিক ৬ মাত্রার। এটি একটি অগভীর ভূমিকম্প ছিল। অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি জায়গায় এটি সংঘটিত হয়েছে। সূত্র: বিবিসি