ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়ার খবরে দেশে কেজিতে বাড়ল ৪৫ টাকা

ভারতে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়ার খবরে দেশে কেজিতে বাড়ল ৪৫ টাকা

ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে পেঁয়াজের উচ্চমূল্যে মানুষের নাভিশ্বাস বাড়িয়ে চলেছে। ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় দফায় প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৩৫০ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করেছে।

ফলে দাম বাড়ার খবরে দেশের বাজারে প্রতি কেজিতে ৪০-৪৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এ কারণে বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রতিবেশী ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ রপ্তানিতে একের পর এক শর্ত অস্থির করে তুলেছে আমদানি নির্ভর বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার। বাড়তি এ দামে কিনতে হলে বাংলাদেশে আমদানি খরচ পড়বে প্রতি কেজি ১০০ টাকার বেশি। একদিন আগেও দেশের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ছিল। দাম বাড়ায় নিত্যপণ্যের এই খাদ্যপণ্যটি চাহিদা মতো কিনতে না পারায় বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ জানান ক্রেতারা।

বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণের কারণ দেখিয়ে গত মাসে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য প্রতি মেট্রিক টন ১৭৫ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ ডলার নির্ধারণ করে ভারত। এবার দ্বিতীয় ধাপে ৩৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে গতকাল রোববার আমদানিকারকদের পত্র দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আর এই খবর কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে সিন্ডিকেট সদস্যরা এক লাফেই কেজিতে ৪০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা পর্যন্ত। হঠাৎ দাম বাড়ার কারণে পকেট কাটা পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন, বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি প্রক্রিয়া সহজ ও শুল্ক মওকুফের পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজারে পেঁয়াজের যথেষ্ট সরবরাহ থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় অসহায় সাধারণ মানুষ। এক রাতেই কেজিতে ৪৫ টাকা বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারকে সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি জানান অনেকে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩২ লাখ মেট্রিক টনের মতো। আর দেশে উৎপাদন হয় ২৭ লাখ মেট্রিক টন। বাকি ৫ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। আর এই আমদানির বড় অংশ আসে ভারত থেকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন