ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এলাচ চাষে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বেনাপোলের চাষি

ভারত ও শ্রীলংকায় প্রচুর পরিমাণে এলাচের চাষ হয়। মসলা জাতীয় ফসল এলাচের সফলতা পেতে এখন বাংলাদেশের মাটিতেও চাষ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই উৎপাদিত মসলা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে বলে মনে করেছেন এলাচ চাষি শাহজাহান।

বেনাপোল ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান জানান, ২০১৬ সালে সর্ব প্রথম তানজিনিয়া থেকে ৬ টি এলাচ চারা সংগ্রহ করি। এরপর আরও কিছু চারা সংগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গ ভাবে এলাচের চাষ শুরু করি।

যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সঠিক দিক নির্দেশনা না পাওয়ায় করণে একাধিকবার এলাচ চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। কৃষি বিভাগ ও মসলা ইনস্টিটিউশনের কর্মকর্তারা বেশ কয়েকবার  আমার ক্ষেত পরিদর্শন করতে এসেছেন।

এরপর আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে এলাচ চাষ করি এরং সফলতাও পেয়ে যাই। এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের এলাচ চাষে আগ্রহীরা আমার ক্ষেত থেকে চারা কিনে বাণিজ্যিকভাবে এলাচ চাষ শুরু করেছে।

তিনি জানায়, ভারত ও শ্রীলংকার মতো বাংলাদেশেও এলাচ চাষের জন্য উপযোগী। অন্য মসলার মতো এলাচ চাষের জন্য আলাদা তেমন জমির প্রয়োজন হয় না। এটা সাধারণত অন্য গাছের ছায়াতলে চাষ করা যায়। এলাচ ক্ষেত পরিচর্যা করার জন্য প্রতিদিন শ্রমিকের প্রয়োজন।

অন্য মসলা চাষের তুলনায় এলাচ চাষ অনেক ব্যয়বহুল এবং লাভজনক। সরকার যদি এলাচ চাষে আগ্রহীদের সহযোগিতা করে অথবা সল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে তাহলে ভবিষ্যতে এ মসলা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

শাহজাহান বলেন, এলাচ গাছে ফল আসতে পাঁচ বছর সময় লাগে। এক একর জমিতে এলাচ চাষ করতে চারা, সেচ, কিটনাশক, শ্রমিক বাবদ প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা খরচ হয়।

সাধারণত এক একর জমিতে ১২শ’ এলাচ চারা রোপণ করা যায়। পাঁচ বছর পর এক একর জমির এলাচ গাছ থেকে প্রতি বছরে প্রায় ১৫শ’ কেজি এলাচ পাওয়া যাবে। যার বাজারমূল্য ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও একটি এলাচ গাছ ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গৌতম কুমার শীল জানিয়েছেন, বেশ কয়েকবার আমি শাহজাহানের এলাচ ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। তাকে আমরা সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। তিনি যেভাবে পরিশ্রম করছেন তাতে খুব দ্রুত সফলতা পাবেন।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন