দীর্ঘ ৪ বছরেও শেষ হয়নি বান্দরবান সরকারী কলেজের ছাত্রী হোস্টেল নির্মানের কাজ। পরপর দুই দফা মেয়াদ বাড়ালেও বাড়েনি কাজের অগ্রগতি। এতে আবাসন সঙ্কটে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুররদুরান্ত থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের। তাই দ্রæত হোস্টেলটির নির্মান কাজ শেষ করার দাবী কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, বান্দরবান জেলার একমাত্র সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বান্দরবান সরকারী কলেজ। জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ বাহির থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে ছুটে আসেন এ বিদ্যাপীঠে। কিন্তু আবাসন সুবিধা না থাকায় ও যাতায়াত ব্যয় বহন করতে না পারায় অনেকেই মাঝ পথে ঝরে পড়ছে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন থেকে। তাই শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষে সরকারী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তেরের অর্থায়নে বান্দরবান কলেজ ক্যাম্পাসে শুরু হয় ১৩২ শয্যার পাঁচতলা ছাত্রী হোস্টেল নির্মানের কাজ। কিন্তু ৪ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও সমাপ্ত হয়নি হোস্টেল নির্মাণের কাজ। কয়েক দফায় কাজের মেয়াদ ও প্রাক্বলিত ব্যয় বাড়ানো হলেও বাড়েনি কাজের অগ্রগতি। এর ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুরদুরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের। শুধু তাই নয় আবাসন সঙ্কটের কারনে অনেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিয়মিত ক্লাস করা থেকেও। এছাড়াও বাসা ভাড়া নিয়ে পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যেতে না পেরে কিছু শিক্ষার্থী মাঝপথে ঝরে পড়তেছে। তাই দ্রæত হোস্টেলটির নির্মান কাজ শেষ করার দাবী শিক্ষার্থীদের। লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে পড়তে আসা অনার্স ও মাস্টার্স পড়–য়া কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বাড়ী থেকে বান্দরবানের দূরত্ব প্রায় ৮০ থেকে ১শ কিলোমিটার। নিজ বাড়ীতে প্রতিদিন আসা যাওয়া করে কলেজে এসে ক্লাস করা সম্ভব না। এছাড়াও আর্থিক সংকটের কারণে বাসা ভাড়া নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারতেছিনা। এদিকে নিয়মিত ক্লাস করতে না পেরে পরীক্ষার মানও ভালো হচ্ছে না। তাই দ্রæত বান্দরবান সরকারি কলেজের মহিলা হোস্টেল চালু করার দাবী জানান দূর দূরান্ত থেকে পড়তে আসা এসব শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বান্দরবান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ দূর দূরান্ত থেকে এসে ভর্তি হয়েছে। তাদের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না হওয়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারতেছেনা। যার কারণে সপ্তাহে দুই একদিন বাড়ি থেকে এসে ক্লাস করতেছে। ফলে পরীক্ষার ফলাফলও তেমন ভালো হচ্ছে না। হোস্টেলটি নির্মিত হলে দূর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পথ আরো সুগম ও ভালো হবে বলে মনে করেন এই শিক্ষক।
তবে বরাদ্দ সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হোস্টেল নির্মাণ কাজটি সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রæত সময়ের মধ্যে হোস্টেল টির নির্মান কাজ শেষ হবে বলে জানান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩২ শয্যার ছাত্রী হোস্টেলটি নির্মানের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স এ আর এম ইঞ্জিনিয়ার্স।